জঙ্গলের গভীরে ঢুকে নকুল এবং সহদেব আগের থেকেও বেশি কৌতূহলী হয়ে পড়ে। চারপাশের প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং নীরবতা তাদের মনে এক অজানা শিহরণ সৃষ্টি করে। গাছের পাতায় সূর্যের আলো চিকচিক করে উঠছে। বাতাসে পাখিদের ডাক শুনে মনে হয় যেন তারা কোনো অদৃশ্য গাইডের মতো তাদের পথ দেখাচ্ছে।

নকুল:(উৎসুক হয়ে) দেখ, সহদেব! এই পথটা বেশ রহস্যময় লাগছে, কোথায় নিয়ে যায় দেখতেই হবে। 

সহদেব কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যায়। তার মনে সন্দেহের ছায়া ঘনিয়ে আসে, কিন্তু নকুলের উদ্দীপনা তাকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়।

সহদেব:(দ্বিধায়) তুই কি মনে করছিস, এটা নিরাপদ হবে? 

(নকুলের চোখে কৌতূহলের ঝিলিক, তার মনে এক অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছে।)

নকুল:(উত্তেজিতভাবে) জীবনে সবকিছুই তো একটা অ্যাডভেঞ্চার, তাই না? চল, একটু দেখে আসি। আমাদের সামনে হয়তো কিছু অবিস্মরণীয় অপেক্ষা করছে।

তারা ধীরে ধীরে সেই অজানা পথে হাঁটতে শুরু করে। পথটা সরু এবং পাথুরে, কিন্তু তাতে তাদের উৎসাহ একটুও কমে না। চারপাশের পাখির কিচিরমিচির আর হালকা বাতাসের সোঁ সোঁ আওয়াজ যেন এক অজানা রহস্যের আভাস দেয়। পথের পাশে পড়ে থাকা। পাথরগুলো এবং তাদের অদ্ভুত আকৃতি দেখে নকুল আর সহদেবের মনে কৌতূহল জাগে।

দৃশ্য ৪: ধ্বংসস্তূপে

পথ চলতে চলতে তারা একটি প্রাচীন ধ্বংসস্তূপের সামনে এসে পৌঁছায়। ধ্বংসস্তূপটি গাছপালায় ছেয়ে আছে এবং দেখতে বেশ পুরনো ও রহস্যময়। নকুল আর সহদেব সেই ধ্বংসস্তূপের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই যেন ইতিহাসের গভীরতায় ডুব দিয়ে তাদের চোখের সামনে নতুন কিছু উন্মোচিত হতে চলেছে।

সহদেব:(চমকে) এ জায়গাটা কী? এত পুরনো আর অদ্ভুত চিহ্ন কেন?

(সহদেবের চোখে বিস্ময়। তার মনে হাজারো প্রশ্ন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কিছু খোদাই করা চিহ্ন দেখতে পায়।)

নকুল:(কৌতূহলী হয়ে) এগুলো নিশ্চয়ই কোনো প্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন। আমি কিছু ছবিও তুলে রাখছি। আমাদের কাছে যে ক্যামেরা আছে, তার মাধ্যমেই হয়তো এই রহস্য উন্মোচনের সূত্র পেয়ে যাব। 

(নকুল তার ক্যামেরা বের করে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলতে শুরু করে। ছবি তুলতে তুলতে সে খেয়াল করে ধ্বংসস্তূপের গায়ে কিছু খোদাই করা লিপি।)

সহদেব:(কৌতূহল নিয়ে) এগুলো কী ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হতে পারে? চল দেখি, কিছু তথ্য পাওয়া যায় কি না। 

(সহদেব ধ্বংসস্তূপের কাছাকাছি গিয়ে সেই লিপিগুলো পড়ার চেষ্টা করে। লিপিগুলো বেশ জটিল, তবে তার মধ্যে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন আছে যা দেখে সহদেবের মনে হয় সেগুলো কোনো পুরনো ভাষা হতে পারে।)

নকুল: হ্যাঁ, এখানে কিছু খোদাই করা লিপি আছে। আমি বুঝতে পারছি না, তবে এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আমাদের এই তথ্যগুলো ঠিকমতো ডকুমেন্ট করতে হবে। হয়তো এই লিপিগুলোই সেই জঙ্গলের রহস্যের চাবিকাঠি। 

ধ্বংসস্তূপের রহস্য

ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে নকুল আর সহদেব এক অদ্ভুত অনুভূতির সম্মুখীন হয়। মনে হয় যেন সেই জায়গা তাদের কোনো বার্তা দিতে চায়। ধ্বংসস্তূপের চারপাশে ছোট ছোট পাথরের স্তূপ আছে, যা দেখে মনে হয় এগুলো কোনো এক সময়ের সভ্যতার অংশ ছিল। 

সহদেব: (আশ্চর্য হয়ে) এই ধ্বংসস্তূপ দেখে মনে হচ্ছে এখানে কোনো সময়ে বিশাল কোনো স্থাপনা ছিল। কিন্তু কিসের জন্য? আর কেনই বা এখন এভাবে ধ্বংস হয়ে পড়ে আছে?

নকুল:(মনে মনে) এটা হতে পারে কোনো প্রাচীন রাজ্যের চিহ্ন। হয়তো এখানে কোনো একসময়ে সমৃদ্ধ সভ্যতা ছিল, যা কোনো এক অজানা কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।

তারা ধ্বংসস্তূপের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। তাদের মনে হয় এই জায়গা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য আবিষ্কার করা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বুঝতে পারে যে এখানে আরও কিছু লুকিয়ে রয়েছে।

নকুলের পরিকল্পনা

নকুল ধ্বংসস্তূপের আশপাশের জায়গা খুঁজতে থাকে, যাতে কিছু নতুন সূত্র পাওয়া যায়। সে দেখে ধ্বংসস্তূপের নিচে কিছু গোপন পথ বা কুঠুরি আছে যা আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারে।

নকুল:(উৎসাহে) সহদেব, দেখ! এখানে একটা গোপন পথের মতো কিছু আছে। মনে হচ্ছে আমরা এক নতুন রহস্যের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। 

(সহদেব প্রথমে একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়, কিন্তু নকুলের আগ্রহ দেখে সে সাহস সঞ্চয় করে।)

সহদেব:(দ্বিধা ভরে) এটা কি নিরাপদ হবে? কিন্তু তুই যা বলছিস, সেটাও ঠিক। এই পথ দিয়ে যাওয়া উচিত, যদি এটা আমাদের কিছু নতুন তথ্য দেয়।

নকুল:(আত্মবিশ্বাসের সাথে) জীবনে সবকিছুই তো একটা অ্যাডভেঞ্চার। চল, একটু দেখে আসি। যদি কিছু নতুন তথ্য পাওয়া যায়, সেটা আমাদের জন্য বড় সাফল্য হবে। 

কুঠুরির সন্ধান

নকুল এবং সহদেব গোপন পথ ধরে কুঠুরির দিকে এগিয়ে যায়। তাদের মনে এক অজানা অনুভূতি কাজ করে, যেন তারা নতুন কিছু আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। 

কুঠুরির মুখের সামনে এসে তারা দেখে ভিতরে অন্ধকার। নকুল টর্চলাইট বের করে এবং আলো ফেলে ভিতরে দেখতে চেষ্টা করে। ভিতরে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন এবং মূর্তি দেখা যায়।

সহদেব:(উৎসুক হয়ে) নকুল, দেখ! এখানে কিছু প্রাচীন মূর্তি আছে। এগুলো কোনো দেবতার মূর্তি হতে পারে।

নকুল:(আবেগে) হ্যাঁ, আর দেখ এই মূর্তিগুলোর গায়ে কিছু খোদাই করা আছে। হয়তো এগুলোই সেই রহস্যের চাবিকাঠি।

তারা কিছুক্ষণ ধরে সেই মূর্তিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। মনে হয় যেন মূর্তিগুলো তাদের কোনো গোপন বার্তা দিতে চায়। 

সহদেব: (উদ্বেগে) তাহলে কি এই মূর্তিগুলোই সেই ধ্বংসস্তূপের কেন্দ্রবিন্দু? আর এগুলো কি আসলেই কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে রেখেছে?

নকুল:(আত্মবিশ্বাসের সাথে) আমাদের এই মূর্তিগুলোর বিষয়ে আরও তথ্য জানতে হবে। চল, এই মূর্তিগুলোর ছবি তুলি এবং এই লিপিগুলো নোট করি, তাহলে আমাদের সেই রহস্যের সমাধান খুঁজতে সুবিধা হবে।

তারা দুজনেই মূর্তিগুলোর ছবি তোলা শুরু করে। নকুল লিপিগুলো নোট করে রাখে যাতে পরবর্তীতে গবেষণা করে বোঝা যায় এগুলো কী ধরনের বার্তা !

রহস্যময় বার্তা

নকুল এবং সহদেব মূর্তিগুলোর পেছনে লুকিয়ে থাকা লিপিগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়। লিপিগুলো পড়তে গিয়ে তারা দেখতে পায় কিছু অদ্ভুত চিহ্ন। লিপিগুলো পড়তে গিয়ে তাদের মন যেন আরও কৌতূহলী হয়ে ওঠে।

সহদেব:(উত্তেজিত হয়ে) নকুল, এই লিপিগুলো কি কোনো বার্তা দিচ্ছে? এগুলো তো খুবই রহস্যময়।

নকুল:(গম্ভীর হয়ে) হ্যাঁ, তবে এগুলো ঠিকভাবে বুঝতে হবে। হয়তো এই লিপিগুলোই সেই রহস্যের উন্মোচন করবে। 

নকুল তার নোটবুকে লিপিগুলো লিখে রাখে। সহদেব এই লিপিগুলোর ছবি তোলে যাতে পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করা যায়। 

উপসংহার

রহস্যের মোড়

নকুল এবং সহদেব জানে না এই লিপিগুলো কী বার্তা দিচ্ছে, কিন্তু তাদের মনে সন্দেহ হয় যে এই বার্তাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং হয়তো ধ্বংসস্তূপের রহস্য উন্মোচন করতে পারে। তারা ফিরে যাবার পথে স্থির সিদ্ধান্ত নেয়, এই লিপিগুলো নিয়ে আরও গভীর গবেষণা করবে। 

ধ্বংসস্তূপ ছাড়ার আগে, নকুল আরেকবার মূর্তিগুলোর দিকে তাকায়। তার মনে হয় যেন মূর্তিগুলোর চোখ তার দিকে তাকিয়ে আছে, আরেকটা বার্তা দিতে চায়। সহদেবও একইভাবে একটু অস্বস্তি বোধ করে, কিন্তু নকুলের কৌতূহল দেখে এগিয়ে যেতে সে দ্বিধা করেনা।

(কিছুদূর যাবার পর)

রহস্যময় ঘটনা

জঙ্গলের পথে ফিরে আসার সময়, নকুল আর সহদেব অনুভব করে যে  পুনরায় আগের মত ‌চারপাশের পরিবেশ একটু অদ্ভুত হয়ে উঠেছে। বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে, আর পাখির ডাকও থেমে গেছে। 

সহদেব:(চিন্তিতভাবে) নকুল, তুই কি লক্ষ্য করেছিস? আবার আগের মত চারপাশে যেন হঠাৎ করেই নীরবতা নেমে এসেছে। 

নকুল:(সতর্কভাবে) হ্যাঁ, আমি অনুভব করছি। এ যেন জঙ্গলের নিঃশব্দ ভাষা।

হঠাৎ করেই একটা ঝাঁকুনি হয়, এবং গাছের ডালপালা নড়ে ওঠে। নকুল আর সহদেব ভয় পেয়ে তাকায়, এবং দেখে ধ্বংসস্তূপের দিক থেকে এক অদ্ভুত আলোর ঝলকানি আসছে। 

সহদেব:(অবাক হয়ে) নকুল, দেখ! ওখানে কি হচ্ছে?

নকুল:(শ্বাস রুদ্ধ করে) আমি জানি না। মনে হচ্ছে কিছু একটার উন্মোচন হতে যাচ্ছে। 

তারা সেই আলোর দিকে ছুটে যায়। আলোর উৎসস্থলে গিয়ে তারা আবিষ্কার করে একটি রহস্যময় পাথর, যা উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত করছে। পাথরের চারপাশে জড়ো হওয়া গাছপালায় যেন নতুন জীবন ফুটে উঠেছে।

গোপন দরজা

নকুল আর সহদেব দেখতে পায় যে পাথরটার গায়ে কিছু খোদাই করা চিহ্ন রয়েছে, যা তাদের আগে দেখা লিপিগুলোর সাথে মিলে যাচ্ছে। 

নকুল:(আবেগে) সহদেব, মনে হচ্ছে আমরা সঠিক জায়গায় এসেছি। এই পাথরটা হয়তো সেই ধ্বংসস্তূপের গোপন রহস্য উন্মোচন করবে।

সহদেব:(কৌতূহল নিয়ে) তাহলে কি এই পাথরটাই সেই ধ্বংসস্তূপের কেন্দ্রবিন্দু? এর মধ্যে হয়তো সেই গোপন পথ লুকিয়ে আছে। 

নকুল পাথরের গায়ে হাত রেখে পরীক্ষা করে এবং হঠাৎই পাথরটা সরতে শুরু করে। পাথরের নিচে একটি গোপন দরজা দেখা যায়, যা তাদের আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারে।

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

নকুল এবং সহদেব সেই গোপন দরজা দিয়ে নিচে নামার সাহস করে। তারা জানে না কিসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের মনে এক অদ্ভুত কৌতূহল আর উত্তেজনা কাজ করছে। 

সহদেব:(আশ্চর্য হয়ে) নকুল, আমরা কি এরকম কিছুই আশা করছিলাম? 

নকুল:(আত্মবিশ্বাসের সাথে) সহদেব, জীবনে সবকিছুই তো একটা অ্যাডভেঞ্চার। এই মুহূর্তে আমরা যে কোথায় যাচ্ছি জানি না, তাতে কি! হয়তো এই পথেই আমাদের সেই রহস্যের উন্মোচন হবে।

তারা গোপন পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়। তাদের মনে অজানা ভয় আর উত্তেজনা একসাথে কাজ করে। সেই পথের শেষ কোথায়, তা অজানা। তারা জানে না যে এই পথ তাদের কোথায় নিয়ে যাবে। 

শেষের শুরু

গোপন পথের শেষপ্রান্তে পৌঁছে, নকুল এবং সহদেব এক নতুন জগতের সন্ধান পায়। এই জগৎ সম্পূর্ণ ভিন্ন, যেখানে সবকিছুই অতিপ্রাকৃত এবং তাদের কল্পনার বাইরে। তারা অবাক হয়ে যায় এই নতুন জগৎ দেখে। চারপাশে সবুজ ঘাসের চাদর, পাখিদের গান আর এক অদ্ভুত শান্তি বিরাজ করছে।

সহদেব:(উৎসুক হয়ে) নকুল, এটা তো এক নতুন জগৎ! আমরা যেন অন্য কোনো জগতে এসে পৌঁছেছি। 

নকুল:(মনে মনে) হ্যাঁ, সহদেব। এটা হয়তো সেই প্রাচীন সভ্যতার গোপন জগৎ। আমাদের এই জগতের রহস্য আরও খুঁজতে হবে।

নকুল এবং সহদেব এই নতুন জগৎ দেখে বিস্মিত। তারা জানে না এই জগৎ কতটা বিপজ্জনক বা কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের মনে একটাই চিন্তা, এই জগৎ তাদের অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

তারা ঠিক করে যে এই নতুন জগতের রহস্য উন্মোচনের জন্য তাদের আর সময় নষ্ট করা উচিত নয়। তারা এগিয়ে যাবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা সেই রহস্যের মূলে পৌঁছে যায়। 

তাদের মনে এই উত্তেজনা আর কৌতূহল নিয়েই এই নতুন জগতের দিকে তারা এগিয়ে যায়। 

অধ্যায় ২-এর শেষে, নকুল ও সহদেব সেই রহস্যময় আলোর সামনে দাঁড়িয়ে। অদ্ভুত স্ফটিক আলো তাদের মুগ্ধ করেছে, কিন্তু এর অন্তরালে কি কোনো বিপদ লুকিয়ে আছে? এই আলো কি সত্যিই তাদের অন্য জগতে নিয়ে যাবে, নাকি এটা তাদের জন্য ফাঁদ? ধ্বংসস্তূপের সেই প্রাচীন লিপি কি সতর্কবার্তা দিচ্ছে, নাকি এর পেছনে কোনো অশুভ শক্তি কাজ করছে?

তারা কি কৌতূহলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে, নাকি এই আলো তাদের এক নতুন বিপদে ফেলে দেবে? পরবর্তী অধ্যায়ে, নকুল ও সহদেব কি অজানার মুখোমুখি হবে, নাকি রহস্যের গভীরে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে? পথের শেষে কি সত্যের উদ্ঘাটন হবে, নাকি অন্ধকারের প্রলয় তাদের গ্রাস করবে?

এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী অধ্যায় ধন্যবাদ !

Continue to next

No reviews available for this chapter.